সৃষ্টির আলো
বহুকিছু ভাবা
হয়েছিল তোমাকে নিয়ে
বহুকাল ধরে
বহুকিছু ।
শিশুর মত একটা
মুখ,
হাত দুটো পাশে
রেখে মাথাটা উঁচু করে বোকা পাখির মত হাসে
তখন ভাঙা খরগোশ
দাঁত দেখা যায় !
কেনো যেনো মনে
হয় ;
দাঁতটা ভাঙা বলেই হাসিটা এত বেশি প্রাঞ্জল আর মধুর !
তোমাকে স্বরবর্ণ
শেখা বাচ্চা বললেও ভুল হবে না !
খুব আনন্দে
থাকলে তুমি তো শিস বাজাও,
আবার খুব রাগ লাগলেও শুনেছি !
আচ্ছা, ভাঙা
দাঁত দিয়ে শিস বাজাতে সমস্যা হয় না ?
বাতাস ফেটে
যায় না তো আবার !
ভাবলে অবাক লাগে !
প্রতিদিন রাত
জেগে ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বরবর্ণকে জড়িয়ে
মনের ভাব লেখ নীল দেয়ালে,
কখনওবা চাঁদের
আলো দিয়ে বানানো স্বচ্ছ কাগজে !
রাত জাগো বলেই
তো –
আরে হ্যাঁ,
তাইতো চোখের নীচে একটু কালি পড়েছে,
একে বলা যাক
চন্দ্রজাগা সময়ের চিহ্নকথা
এই কালিটার
আরও নাম দিয়েছি –
চন্দ্রের বিপরীত
কায়া,
কখনওবা জ্যোৎস্নার
ছায়া !
কত কিছু ভাবা
হয়েছে আমার এই মগজে, ভাবতে পার ?
কিন্তু এটা ভাবা হয়নি
নিকোটিনও তোমার গোলাপি ফুসফুসের
অতিথি হয়
ভাঙা দাঁত শুধু
শিসের বাতাস ধরে না,
বাদামির ভেতর
শাদা ফিলটারকেও ঠোঁটের সাথে ধরে রাখে !