তিলোত্তমার আয়না

এই যে তিলোত্তমা, হ্রদের জলে নিজেকে আর কতদিনই বা দেখতে পাবে ? যে হারে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে হয়তো কাল পরশুই মরুভূমি হয়ে যাবে নিটোল জলে ভরাট হ্রদটা । বলছিলাম কি যে, আয়নায় নিজেকে দেখতে শেখ। আয়না ধরতে শেখ। আগামী শরৎ-এ তোমার কাছে এলে একটা আয়না নিয়ে আসব, রুপোর প্রলেপ দেয়া। তিলোত্তমা, দিনে কয়বার হ্রদের জলে নিজেকে দেখ ? দুবার? তিনবার ? নাকি আরও বেশি ? বৃষ্টির দিনে কিভাবে দেখতে নিজেকে ? বৃষ্টির ফোঁটায় পানি কেঁপে উঠে বলে নিজের প্রতিচ্ছবিও ভূমিকম্পে রূপ নেয় ! তোমার পুরো পৃথিবী কেঁপে ওঠে ! বৃষ্টির দিনে কাঁপা পানিতে নিজেকে দেখে ভয় পাও কি তিলোত্তমা ? যে আয়নাটা তোমাকে দেব তা যেন না ভাঙে তাই নারকেলের খোসা দিয়ে বাঁধিয়ে দেব ! সাথে একটা শুকনো-শক্ত ডাল বেঁধে দেব, যেন সহজে হাতে ধরতে পার আয়নাটা ! এই আয়না কেমন ? জান কিছু ?? এই আয়না কাঁপে না বৃষ্টি হলে এই আয়নায় মাছ থাকে না হাত ভেজায় না এই আয়নায় স্নান করা যায় না ডুব ও দেয়া যায় না এই আয়নায় তবে এই আয়নায় নিজেকে হুবহু দেখতে পাওয়া যায় তুমি যেমন, ঠিক তেমনি দেখতে পাবে এখানে নিজেকে আমার তিলোত্তমা ...