বৃষ্টি

-


১.
শাদা কী-বোর্ডের বুকের উপর দুটো কবিতার খাতা গড়াগড়ি খাচ্ছে ! তার পাশে আকাশী ইয়ারফোন, সকালে গান শুনিয়েছিল আমাকে, এখন ঘুমাচ্ছে ! 
জানালার বাইরে দড়িতে আমার জামা নেড়ে দেয়া আছে, সেগুলি শুকনো ছিল, কথা ছিল গোসল করে ওগুলি পড়ব ! এখন সেগুলি বৃষ্টিতে কিরকম করে যেন ভিজছে, একটু করে দুলছে বাতাসে আর ভিজছে !
শীত করে না ওদের ? জ্বর-সর্দি হয় না ?!
হয় না, কখনো তো দেখি নাই আমার জামা খুকখুক করে কাশছে বা একশ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে কাঁথামুড়ি দিয়ে ভুল বকছে !

ভাবছি, আমাকে জামাগুলির মত জানলার ওপাশে দড়িতে নেড়ে দেয়া হোক, আমিও বাতাসে দুলতে দুলতে ভিজে একাকার হয়ে ভেসে যাই বৃষ্টিতে !



২.
দড়িতে ঝুলতে ঝুলতে বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দটা আমার জানা নেই !

সামনের একদিন লম্বা মোটামতন দড়ি কিনব, উঁচু দুই গাছের মগডালের সাথে এর দুইপ্রান্ত বাঁধব ! তারপর দুইহাত দিয়ে ধরে ঝুলে থাকব বাদুড়ের মত ! একসময় বৃষ্টি আসবে, ভিজে যাব আর সেই সাথে মলয় বাতাস আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে হঠাৎ করে, কাউকে কিছু না বলেই !

হারিয়ে যাব আমি, ঘাসবনে, হারিয়ে যাওয়া কথাগুলোর মত !


এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হঠাৎ করেই হ-য-ব-র-ল [১]

-
ছবি
জানালা দিয়ে এত সুন্দর করে আকাশ দেখা যায় , এই ছবিটি না তুললে বুঝতামই না ! ২০১৭ সালের ডিসেম্বর - এ তোলা , মায়ের ফোন দিয়ে ! চুপিচুপি করে  ! - ১ -  মাথার ভেতর কে যেন একটি গরম ইট ঢুকিয়ে রেখেছে !   একই সাথে মাথা এত ভারী লাগছে - ব্যথা হচ্ছে - গরম ও লাগছে ! একেবারে বিশ্রী অবস্থা !   কোন কাজে মাথা যায় না , যায় শুধু নীচের দিকে , এতটাই ভার হয়ে আছে আমার মাথা !   বহু দিন কেটে গেল , লিখা হয় নি কিছু , কিন্তু ভাবা হয়েছে অনেক কিছু ! সেগুলি ভাবার পড় কই গেছে , তার কোন ইয়াত্তাই নেই !   সে যাকগে , আমার লিখা হয়নি , কিন্তু স্কুল পড়ূয়া বাচ্চা ছেলে - মেয়েরা ঠিকই লিখে যাচ্ছে একে অপরকে ! কাল যে রাস্তায় একটি কাগজ পেয়েছিলাম ! তাতে লিখা , " আমাদের বাচ্চারা কেমন আছে ?" কোন এক স্কুল পড়ুয়া বাচ্চার লিখা , গণিত খাতায় ! ভাষায় অপরিপক্বতার ছাপ আর তা অনেকটা বুলি আওড়ানোর মত অর্থাৎ যা বলা - না বলা দুটোই সমান ! দু - চারটা প্রেমের উপন্যাস ...
আরও পড়ুন

মায়ের পেটে কাটানো দিনগুলিতে বই পড়া

-
ছবি
  ১৯ বছর আগে আমাকে   পৃথিবী নামিয়ে , এখন নিজের বাগানে ফুল হয়ে ... তখন আমি বই - এর পাতা ওল্টানোর শব্দ পেতাম , যখন আমি মায়ের পেটের ভেতর বসবাস করতাম ! তখন আমি একটা জিনিসই জানতাম !   আর তা হচ্ছে বই পড়া ! যদিও তখন আমি নিজে পড়তাম না , মা পড়ত আর আমি কুন্ডলী পাকিয়ে মায়ের পেটের ভেতর আরাম করে শুয়ে - বসে দিন কাটাতাম !   তখন আমি বই - এর পাতার সুবাস পেতাম , কারণ , মা নতুন বই কেনার পর ঘ্রাণ নিতেন ! আমিও পেতাম বৈকি ! দারুণ ছিল ঘ্রাণ গুলি ! মা যখন গল্পের বই পড়তেন , তখন আমি পেটের ভেতর নড়ে উঠতাম ! শুয়ে থাকলে বসে পড়তাম ! মেরুদন্ড সোজা করে বসতাম ! খুব মনোযোগ নিয়ে আসতাম নিজের মধ্যে ! তারপর কান খাড়া করে মায়ের কণ্ঠ শুনতে থাকতাম ! গল্পের কাহিনীর সাথে সাথে মায়ের কণ্ঠস্বর - ও পরিবর্তন হত ! ফলে , গল্প সত্য বলে মনে হত – শুধুমাত্র মা - এর “ কণ্ঠস্বর ” এর কারণেই ! এই পৃথিবীতে ঘুমোনোর আগে আমি মায়ের পেটে বেশ লম...
আরও পড়ুন

দারুণ কিছু ক্ষমতা !

-
ছবি
তুমি কি জান , আজ কি হয়েছে ? তার আগে বল , তোমার কি মনে আছে , এবারের বইমেলায় তুমি আঙ্গুল দিয়ে বই - এর লিখাগুলি অনুভব করছিলে , তখন তোমার একটি ছবি তুলেছিলাম ? কী , মনে নেই ? আমিও না কত্ত বোকাটা ! তোমাকে তো না জানিয়েই ছবি তুলেছিলাম , আর এখন বলছি কিনা “ স্মরণ আছে কিনা , তোমার ! ” যাইহোক , তোমার ঐ ছবিটি দারুণ এসেছিল ! বই পড়ার ব্যাপারে তুমি যা বড্ড আগ্রহী তা খুব বোঝা যাচ্ছিল ছবিটি দেখে ! আরও দারুণ ব্যাপার হচ্ছে যে , গত ৩ দিন ধরে তোমার ঐ ছবিটি দৃক গ্যলারীতে প্রদর্শন করা হয়েছে ! আমি নিশ্চিত , যতজন আজ তোমার ছবিটি দেখেছে ঠিক ততজন মানুষ নিজের ক্ষমতার ব্যাপারে দারুণ ভাবে ভেবে দেখেছে ! আর নিশ্চয়ই অন্যদেরকে তোমার গল্প ডেকে ডেকে শুনিয়েছে ! আমি নিশ্চিত !   আর সবাই এই ভেবে অবাক হচ্ছিল যে , তুমি নিজের চোখ দুটিকে যাদুর বাক্সে লুকিয়ে রেখে কিভাবে বই পড় আর তারা নিজের চোখ দুটিকে কপালের নীচে রেখেও কেন বই পড়ে না , কেন দারুণ কিছু করে না ! ...
আরও পড়ুন