আর কতটা অবাক হলে ক্লান্ত হব
একই
খাঁচায় আছে চারজন, রানু-ভানু ও তিতলি-কেকা
! প্রথম দুজন খরগোশ দুজনেই শাদা, পরের দুজন বাজেরিগার পাখি, পালকের রং সবুজ হলুদ নীল মেশানো ! আরও কয়েকটা রং আছে এদের পালকে, কিন্তু আমি নাম জানি না !
ওদের পাশের টবে কচি ঘাস আছে, সেখান থেকে একটু ঘাস ছিঁড়ে নিয়ে রানুর মুখের কাছে ধরলাম, সে সুন্দর করে ভদ্র মেয়ের মত চিবানো
শুরু করল !
উড়ে
এসে যোগ দিল তিতলি !
আচ্ছা,
এ কি হচ্ছে ?!
আমার
হাত থেকে একই সাথে ঘাস খাচ্ছে খরগোশ ও পাখি !
ঠিকাছে
ঠিকাছে, বেশ অবাক করল এরা দুজন আমাকে ।
একটু
পর দেখি ভানু লাফাতে লাফাতে পেছন থেকে এসে তিতলির সবুজ লেজকে পাতা মনে করে চিবানোর শুরু করল ! তিতলি বুঝতে পেরে কিচকিচ শব্দ করে উড়ে সরে পড়ল ! গিয়ে বসল কেকার পাশে !
তিতলির লেজ খেতে না পেরে ভানু এসে যোগ দিল রানুর সাথে ঘাস চিবুতে !
তিতলি কেকা ডালে বসে কিচকিচ কুচকুচ করে একজনের কানে একজন কি যেন বলতে থাকে ! আমার মনে হয় তিতলি কেকার কাছে ভানুর নামে বিচার দিচ্ছে আর কেকা ভাবছে মোটু ভানুকে কিভাবে শায়েস্তা করা যায় !
কিন্তু সেদিকে ভানুর কোন খেয়াল নেই, সে আপন মনে রানুর পাশে তুলতুলে নরম চার পায়ে দাঁড়িয়ে ঘাস চিবুতে থাকে আমার হাত থেকে ।
আর আমি ভাবি, আর কতটা অবাক হলে ক্লান্ত হবে আর কবে অবাক হওয়া বন্ধ করব ?!
প্রকৃতি মাঝে মধ্যে এতটা সুন্দর হয়ে আমাকে অবাক না করলেও পারে
!