The Pssion of Reading

চমৎকার মানুষের কথা ভেবে ভেবে আনন্দ পাচ্ছি, এমনই রাত!
২০১৮ সাল শুরু হওয়ার ৪৮ দিন পর!

গল্পের বই পড়া আসলেই বড্ড আনন্দের কাজ, যে কারও জন্যই হোক না কেন তা, তাতে বড্ড আনন্দ! এমনকি এঁদের জন্যেও, যারা কিনা নিজের চোখ দুটিকে লুকিয়ে রাখে কোন এক কারণে! এরা চোখ দিয়ে বই না পড়ে হাতের আঙ্গুল দিয়ে বই পড়ে! এরা চমৎকার মানুষ!
“চোখ দিয়ে বই পড়া” আর “আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করে বই পড়া” – দুটো প্রায় একই কথা, আবার মোটেও একই কথা নয়! কারণ আমরা যারা নিজের দুটো চোখ দুটো কোটরে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, তারা জানি যে এই পৃথিবী কেমন, তাই পড়ার সময় গল্পের দৃশ্য খানিকটা অনুমান করে নিতে পারি গল্পের কাহিনী অনুযায়ী! সহজ কথায় - কল্পনা করতে একটু সুবিধে হয়, এই আর কি!
কিন্তু যারা জন্ম থেকেই নিজের চোখ দুটোকে লুকিয়ে রেখেছে কোন জাদুর বাক্সে, তারা তো এই পৃথিবী দেখেই নি, তারা কিভাবে কল্পনা করে দৃশ্যগুলি, গল্প অনুযায়ী? কিভাবে সাজিয়ে নেয় মনের মধ্যে গল্পগুলিকে?
দু’পক্ষের পড়ার আনন্দই কি সমান?
আমরা যারা চোখ নিয়ে ঘুরে বেড়াই তারা জানি যে গল্প পড়লে কেমন অনুভূতি হয়! কিন্তু ওদের কেমন অনুভূতি হয়, যারা জাদুর বাক্সে চোখ লুকিয়ে রাখে? 

ছবিঃ একুশে বইমেলায় এই নাদুস-নুদুস ছেলেটি একটি গল্প অনুভব করছিল, আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করে করে! সহজ কথায় – গল্প পড়ছিল ব্রেইল বই থেকে! তার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, বই পড়তে বড্ড ভালবাসে সে! তবে আরও চমৎকার করার মত কথা হচ্ছে যে, সে শুধু নিজেই পড়ছিল না, দর্শকদেরও শোনাচ্ছিল গল্পটি!
এত চমৎকার মানুষ পৃথিবীতেও থাকে? একদমই জানতাম না, ভাবতাম যে – শুধুমাত্র দেবতারাই এমন চমৎকার হয়!


এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হঠাৎ করেই হ-য-ব-র-ল [১]

মায়ের পেটে কাটানো দিনগুলিতে বই পড়া

দারুণ কিছু ক্ষমতা !