ডানপিটে সূর্যের কান্ড, আকাশের ওপর


কিছুক্ষণ আগেই ঘুম থেকে জেগে উঠলাম, মাথা একদম পরিষ্কার, যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন কেউ এসে মাথা থেকে সব ময়লা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে গেছে!

তারিখঃ ২০১৮ শুরু হওয়ার ৪২ দিন পরে!

দুনিয়া দেখতে খুবই ভাল লাগে আমার! আর তা অবশ্যই হেঁটে হেঁটে, বসে বসে নয়!

বসে থাকলে স্থির দুনিয়া আর হাঁটা দিলে গতিময় দুনিয়া!.....()

এবং জীবন ততক্ষণ আনন্দের যতক্ষণ এতে গতি আছে!....()
দুলাইনে দুটো সমীকরণ, সমাধান করুন, বুঝে নিন!
উত্তর পাবে এই লিখার একদম শেষে!

তো আজও হেঁটে হেঁটে দুনিয়ার গতিময়তা দেখে আনন্দ পান করছিলাম মনে মনে! এই আনন্দে আরওএক কাঠি আনন্দযুক্ত করল মধ্যবয়স্ক এক লোক! অবশ্য সে নিজের থেকে যুক্ত করেনি, আমি তার থেকে আনন্দ-এর একটি কাঠি কিনে নিয়েছিলাম টাকা দিয়ে!

আর এই আনন্দের কাঠিটি হলএক কাপ গরম চা, ধূসর রং এর, কড়া চিনিসহ!

তবুও, চা হচ্ছে চায়ের মতই! শরবতের মত মিঠা হোক আর করল্লার মত তেতো হোকতা চা থাকবে!

অতএব, এই চা এর কাপকে দুআঙ্গুল দিয়ে ধরে হাঁটা দিলাম, দুনিয়া দেখতে!

ঘুম থেকে সদ্য ওঠা আমি বালক, শীতের বিকেল, পরিষ্কার মাথা, হাসি-খুশি গতিময় মানুষ আর এই আমি তাদের মধ্যে হেঁটে বেড়াচ্ছি চায়ের কাপ আঙ্গুলে নিয়ে!

বড্ড আরাম!

সূর্য ডুবু ডুবু করেও ডুবছে না,

সে যেন ডুবতেই চাইছে না!

সূর্যটিকে দেখে মনে হচ্ছে, তার মা হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে যাচ্ছেন অন্য দেশে আলো দিতে, কিন্তু সে যাবেই না!

ডানপিটে ছেলের মত জিদ ধরে দাঁড়িয়ে আছে সূর্য, নীল আকাশের উপরে!

আর মা সূর্য যেহেতু তাকে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাই সে রাগ হয়ে নীল আকাশে তার কিছু চিহ্ন রেখে যেতে চাইছে, আর তারই প্রতিরূপ হিসেবে নীল আকাশ খানিকের জন্য কমলা-হলুদ হয়ে যাচ্ছে!

এই দুনিয়ার ডানপিটে ছেলেদেরকেও মাঠ থেকে জোর করে নিয়ে আসার সময় তারা পা দিয়ে ধূলোর মাঠে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে নিজেদের চিহ্ন রেখে যায়, খানিক সময় এর জন্যে!

সূর্যও তাই করে প্রতি বিকেলে, সেও দুনিয়ার ছেলেদের মতই ডানপিটে!

ছেলেগুলি রেখে যায় বালির চিত্রকর্ম আর সূর্য রেখে যায় আলোর চিত্রকর্ম, আকাশের ওপর, একে আমরা গোধূলি হিসেবে জানি!

এমনই ডানপিটে সূর্যের দুনিয়াতে এই আমি হেঁটে বেড়াচ্ছি, ঘাড়ের উপর পরিষ্কার মাথা আর আঙ্গুলে ধরা চা-এর কাপ!

হেঁটেই চলেছি আমি, থামার নয় হাঁটুনি


ডানপিটে সূর্যের কান্ড, আকাশে ওপর!

সেপ্টেম্বর, ২০১৮


চিত্রঃ যখন এই লিখাটি লিখি তখন আকাশের অবস্থা এমনই ছিল, ঠিক এই ছবিটির মত! কিন্তু সাথে ক্যামেরা না থাকার কারণে ছবি তুলতে পাইনি! আর তাই  এই লিখার আকাশের সাথে মিল রাখার জন্যে ল্যাপটপ-এর হার্ডডিস্ক ঢুঁ মারলাম! পেয়েও গেলাম বেশ কিছু আকাশের ছবি, সবই অবশ্য আমার তোলা! তারপর অনেক যাচাই-বাছাই করার পর লিখার সাথে এই ছবির আকাশের মিল পেলাম! আর হ্যাঁ, ছবির মুখাবয়বটি আমার! এটি পছন্দের ছবিগুলির মধ্যে একটি!

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হঠাৎ করেই হ-য-ব-র-ল [১]

মায়ের পেটে কাটানো দিনগুলিতে বই পড়া

দারুণ কিছু ক্ষমতা !