পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমি এবং মেঘ

ছবি
১ শৈশবে এক সকালে আকাশের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “এখানে এই মেঘ কেন ? কাল তো অন্যরকম একটা ছিল আর আজ অন্য একটা এসে ওর জায়গা দখল করে বসে আছে ! ঠিক যেন আমাদের ক্লাসের বন্ধুগুলির মত, কেউ যদি নিজের জায়গা ছেড়ে ওঠে তাহলে অন্য একজন এসে বসে যায় !” শৈশবেই অন্য একদিন ঘুম ভেঙে বিকেলের আকাশ দেখে বললাম, “কে আবার আকাশকে রাঙিয়ে দিয়ে গেল আমার ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ?”  কারণ তখন গোধূলি চলছিল ! ২ কৈশোরে মেঘের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “মেঘগুলি সারাদিন ভেসে থাকে কিভাবে ? ওদের পেটে কি গ্যাস বেলুনের মত গ্যাস ভরা থাকে ? পাখাও তো নেই পাখির মত ! তাহলে উড়ে বেড়ায় কি করে ?!”    ৩ তরুণ হয়ে আর কিছু জিজ্ঞেস করিনি ! তবে বিকেলের মেঘের দিকে তাকিয়ে শুধু একটু ভাবলাম, "নদীর বুকে চর জেগে উঠলে যেরকম নকশা জেগে ওঠে বালুর ওপরে ঠিক যেন তেমনটাই থাকে বিকেলের মেঘে !" ৪ বৃদ্ধ হলে মেঘ নিয়ে জিজ্ঞেস করব না, ভাবব ও না, কিছু বলবও না ! শুধু তাকিয়ে থাকব মেঘগুলির দিকে ! ওদের চলার পথ দেখব, তখন ওরাই হবে আমার বন্ধু কারণ – আমি পৃথিবীতে ধীরে ধীরে ঘুরে বেড়াই আর মেঘগুলি আকাশে !  ওরা আমার মতই...

কুয়াশা রংধনু

ছবি
স্বপ্ন পেয়েছিলাম তার দেখা, স্বপনে – কল্পনায় – সবখানেই ! তবে বাস্তবে নয় ! স্বপনে সে সমুদ্রের রঙিন মাছের মত ; রঙের মায়ায় জলে বিভ্রম সৃষ্টি করে ! আর কল্পনায় ?! থাক, তা আর বললাম না ! কারণ, স্বপন হচ্ছে প্রকৃতির ; স্বইচ্ছা খাটে না কিন্তু কল্পনা আমার ; নিজের চিন্তার তুলিতে আঁকা   আর সেখানে তাকে আমি আমার মত করে পাই ! তাই স্বপনে থাকি না ; রই কল্পনায় তার সনে ! পদ্মপাতা জানতে তুমি – আমি যে পদ্মপাতা ; আরও জানতে – সেখানে জলবিন্দু থাকে না বেশিক্ষণ ,   তাই তুমি থাকলে না সেই বিন্দু হয়ে ; জলবিন্দু থেকে রূপান্তর হলে জলাধারে - যেখানে পদ্মপাতা হয়ে ভেসে বেড়াই তোমারই মনের ধারে ! সুপ্ত – সুপ্তি খুব যে রাত হয়েছে – জোনাকিরাও গেছে ঘুমিয়ে – জ্বলে না আর ঐ লুসিফারেনের সবুজ বাতি ; তবুও এমন সময়ে , আমি নই সুপ্ত – তুমিও নও সুপ্তি ! নামহারা ফুল হুটহাট করেই দেখতে পাই শাদা একটি পাপড়িকে – ভিড়ের মধ্যে মাথা উঁচু করে উড়ে বেড়াচ্ছে ; দেখতে প্যারাসুটের মত...