পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শব্দের ছবি [শৈশবের গল্প]

ছবি
শীর্ষেন্দুর গল্পসমগ্র পড়তে পড়তে ছোটকালের একটা বিচ্ছিন্ন সুখস্মৃতি মনে পড়ে গেল। সময়টা ছিল ২০০২ কিংবা ২০০৪ এর মাঝামাঝি সময়ের। তখন শুধু বই ধরতে জানতাম, পাতা ওলটাতে জানতাম, বইয়ের ছবি দেখে কল্পনা করতে জানতাম, কিন্তু পড়তে জানতাম না। বানান করতে পারতাম কয়েকটা শব্দ। কঠিন বানানগুলি একবার জেনে নিলে পরের বার থেকে সেই বানানের চেহারা বা ছবি দেখলে বানান না করেই বুঝতে পারতাম শব্দটা আসলে কি। ছোটকালে দেখেছিলাম মা প্রচুর বই পড়তেন। আমাকে ইংরেজি এলফাবেট দিয়ে শব্দ গঠন করতে দিয়ে বিছানায় উপুড় হয়ে মোটা মোটা উপন্যাস পড়তেন। তখন মাকে দেখে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হত। এখন আমি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্পসমগ্র পড়ছি। মায়ের প্রিয় লেখক ইনি। ছোটকালে মা আমাকে লেখকদের নাম বানান করে শিখিয়েছিলেন। কারণ এই নামগুলি চার/পাঁচ বছরের বাচ্চার জন্য কিছুটা কঠিন। যেমন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ ! মা আমাকে বানান করে শিখিয়ে দিতেন কোন লেখকের নামের উচ্চারণ কি হবে। উচ্চারণ করতে পারতাম ঠিকই। কিন্তু বানান করতে কষ্ট হত। তাই আমি একটু বুদ্ধি ...