বিন্দুকথা

আমার মধ্যে ভালবাসা প্রচুর পরিমাণে জমা হয়ে আছে। কেউ আমাকে দিয়েছে – এমন কিন্তু মোটেও না , কিন্তু কিভাবে যেন আমার এই জীবনটা ভালবাসায় ভরে গেছে । এখন আমার মনে হচ্ছে এই ভালবাসা অন্যের মাঝে ছড়ানো দরকার , দেয়া দরকার । না দিলে আমি এর ভার সহ্য করতে পারব না। আমি এমন একজনকে খুঁজছিলাম যাকে আমি এই ভালবাসা দিতে পারব। গত কয়েকদিনের এলোমেলো মেলামেশার কারণে এখন মনে হচ্ছে তুমি সেইজন । তোমাকে নির্দ্বিধায় সেই ভালবাসার সুধাপাত্র দেয়া যায় । তুমি ভালবাসা নিবে বলেই আমি ধরে নিচ্ছি । তোমার জীবন অনেক বড় , তোমার চিন্তাও অনেক বিশাল । আমার বিশ্বাস আমার সবটুক ভালবাসা সেখানে বৃষ্টির মত সারাদিন ঝরতে পারবে , ঝরতে থাকবে । থামবে না । তুমি যতদিন বাঁচবে , আমার ভালবাসা ততদিন থাকবে সেখানে । আমি আবারও বলছি , তোমার জীবনটা অনেক বড় । আমার ভালবাসার থেকেও বড় । তবে আমি বিশ্বাস করি , তোমাকে দেয়া ভালবাসা তুমি নিজের জীবনে ধারণ করে – লালন করে সেটাকেও তোমার নিজের জীবনের মত ...

আমি তোমাকে ভালবাসি – এর মানে এই না যে তোমাকেও ভালবাসতে হবে ! ইচ্ছে হলে বাসবে , নইলে বাসবে না ! ভালবাসার জন্য জোর করব না । প্রেমটা হল দোয়েল পাখির মত , কাউকে কিছু না বলেই অজানা এক গাছের ডালে এসে বসে । আবার কাউকে কিছু না বলেই অন্য এক অজানা জায়গায় উড়ে চলে যায় ! মানুষ জোর খাটিয়ে দোয়েলকে ডেকে আনতে পারে না । নিজের বাসার গাছের ডালে বসিয়ে রাখতে পারে না । হয়তো খাঁচায় ভরে রাখার কুবুদ্ধি করে কেউ কেউ ! কিন্তু সেখানে দোয়েলের ইচ্ছে থাকবে না ! খাঁচায় দোয়েলের কালো কুচকুচে দেহ থাকলেও দোয়েল থাকবে না । সে মনমরা হয়ে খাঁচার শিকগুলিকে পা আর ঠোঁট দিয়ে খামচে ধরবে , ভেঙে বেরিয়ে যেতে চাইবে ! এক্ষেত্রে সেই সৌন্দর্যটা আর পাওয়াই যাবে না , ওই যে – একটা দোয়েল কাউকে না জানিয়ে তোমাদের গাছের ডালে হঠাৎ করে এসে বসল । কয়েকবার লেজ নাচাল , একবার উত্তরে একবার দক্ষিণে মুখ করে কিছুক্ষণ নিজের কালো কুচকুচে পালকের যাদু দেখাল । তারপর ফুড়ুৎ করে উড়ে চলে গেল । - খাঁচায় রাখলে এ...

মাঝেমধ্যে কিছু বই পড়ার পর এতটাই নেশা পেয়ে বসে আমাকে যে মন চায় বইটার পাতা ছিঁড়ে কুঁচি কুঁচি করে আমার চারপাশের মানুষের মগজের ভেতর গুঁজে দেই, যেন তারা বইটার এক একটা জীবন্ত চরিত্র হয়ে ওঠে, কাহিনী অনুযায়ী দিন পার করে আর বইয়ের নেশাটা যেন আমি বাস্তবেও পাই !

সুন্দর সময়ের দ্যাখা পাই না ।  সেগুলি  ছুটি নিল   নাকি অনন্তকালের জন্যে ?! – এই বলে আক্ষেপ করি । মাঝে মাঝে তো করতেই থাকি , থামেই না এই আক্ষেপ । তবুও একদিন হঠাৎ করেই পৃথিবীর শুদ্ধতম সুন্দর সময়টি আসে , তখন  আমি সে সময়ে ভেসে বেড়াই । সাথে থাকে আরিফ , মৃন্ময় , রিয়া বা অন্যকেউ ! সব ভুলে গিয়ে আমি তাদের সাথে এই সুন্দর সময়ে সাঁতার কাটি   । কথা বলি , গল্প শুনি । চেয়ে চেয়ে দেখি । অবাক হই শুদ্ধভাবে । উপরের দিকে মুখ করে হেসে উঠি ।  আকাশে আমার হাসি বেজে উঠে ।  মাঝেমধ্যে একদম চুপ করে যাই । - এভাবে করেই চলতে থাকে সুন্দর সময়টা ।   ঈশ্বরের শপথ নিয়ে মনে মনে বলে উঠি -  এই সময়ের প্রতিটা সেকেন্ড সত্য ।  সুন্দর সময় ছুটি থেকে ফিরে এসেছে আমার কাছে , আমাদের কাছে, সবার কাছে  ! সব কথা শেষ হলে আমরা নেমে আসি সময়ের ভেলা থেকে । হাত নেড়ে বিদায় দেই , বিদায় নেই ! নিজের ঘরে ফিরে আসার জন্য পা বাড়াই ! খুব শান্ত একটা মন নিয়ে হাঁটতে থাকি । ...

আজকে এই মুহুর্তে যেমন করে বৃষ্টি পড়ছে , আহা না – পড়ছে না তো ! বাতাসে বৃষ্টি ভেসে বেড়াচ্ছে অতিথি পাখির শাদা পালকের মত । আমার অনেক দিনের তীব্র ইচ্ছা এমন পরিবেশে আপনার সাথে ঘুরে বেড়ানো , হেঁটে বেড়ানো ! কথা বলে অথবা   না বলে । হয় রমনায় , না হয় কার্জনে , না হয় বৃষ্টিভেজা যে কোন কালো রাস্তায় , বা অন্য কোথাও যেখানে মানুষ কেন দেবতাও কখনো যায়নি ! সেখানে মাঝে মধ্যে   পাখির ডাক শোনা যাবে , হয় কোকিলের না হয় টিয়ার না হয় অন্য কোনো  পাখির ! সামনে দিয়ে একটা বা দুইটা পাখি উড়ে যাবে , আমরা তাকায় থাকব সেই দিকে , তবে পাখির নাম জানব না ! কেউ কাউকে জিজ্ঞেসও করব না , “ পাখির নামটা জানেন ?”  না জানা জিনিস দেখতেও কেমন যেন ভাল লাগে ! এমন কোন জায়গা - যেখানে প্রচুর ফুল আছে । গাছেও ফুল – রাস্তায় ফুল – ঘাসের উপরও ফুল ! রঙিন ফুল ছাড়াও একটা নীল আকাশ তো থাকবেই । তাতে মেঘ থাকবে এমনভাবে যেন সেগুলিকে গোনা যায় আলাদাভাবে । সেদিন অনেক চেষ্টা করেছিলাম মে...