পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নিজেই

ছবি
নীল রঙের গোল গ্রহে একটা মানুষ বাস করত, সে বই পড়তে খু-উ-ব ভালবাসত ! তাঁর বিশাল একটা লাইব্রেরী ছিল যা মহাবিশ্বের সমান আর তাতে বইয়ের পরিমাণ ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ! এর মধ্য থেকে কিছু বই সে পড়েছে, আর অনেক কটাই পড়া হয়নি ! তবে অনেকদিন ধরেই সে এমন একটা বই খুঁজছে যেটা পড়ে সে সবচেয়ে বেশি শান্তি পাবে ! কিন্তু বইটার নাম কি - কে লিখেছে - তাও সে জানে না !  পুরো মহাবিশ্বের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন বই এক এক করে পড়ার পর সে তাঁর কাঙ্খিত বইটি খুঁজে পেল ! তারপর খুব তৃপ্তি নিয়ে বইটি পড়ল ! বইটি সে নিজেই, আর লেখক ও সে নিজেই !   

গাদ্দার

ছবি
যেহেতু মায়ের বাড়িতে আছি তাই মায়ের বইয়ের বিশাল সাগরে বইপত্র ঘেঁটে এবং পড়ে সময় কাটে । ঈদের দিন পড়ে শেষ করেছিলাম সুনীলের লিখা ‘অরণ্যের দিনিরাত্রি’, অরণ্য নিয়ে লিখা দারুণ একটি বই, প্রেম প্রেম ভাব আছে, বন্ধুত্বের ঘটনাও চোখে পড়ার মত !   ঈদের ২য় দিন মায়ের বইয়ের সাগরে নতুন বই খুঁজছিলাম পড়ার জন্যে ! অনেকক্ষণ ধরে বইপত্র নাড়াচাড়া করছিলাম – উত্তরাধিকার, পার্থিব, দূরবীন, চক্র, আরও কত মোটা মোটা বই ! বলা বাহুল্য – এত নাদুসনুদুস বই লিখায় বিশাল ধৈর্যের প্রয়োজন !   মা বললেন, ‘দেখি, কৃষণ চন্দরের ‘গাদ্দার’ পড়, নতুন লেখকের বই পড় !’ দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার আগেই ৮৫ পৃষ্ঠার বইটি পড়ে ফেললাম ! বইটা উর্দু থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন আনোয়ারা বেগম ! যদিও অনুবাদ করা বই পড়া নিয়ে আমার খুব বাজে অভিজ্ঞতা ছিল, ওগুলি পড়লে মনে হয় - ক্লাস থ্রীর বাচ্চাকে দিয়ে ট্রান্সলেশন করানো হয়েছে ! কিন্তু আনোয়ারা বেগমের অনুবাদ পড়ে মনে হল এটি তার নিজেরই লিখা, কারণ অনুবাদ স্বাবলীল ও স্বচ্ছন্দ !   বইটি ভাল লাগার কারণ – গ্রন্থের বক্তব্য, লেখকের পরিবেশন কুশলতা, ঘটনাবিন্যাস ও চরিত্রচিত্রণের সহজাত শক্তি ! ঘ...